মাগুরায় এই প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৫ | আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৭

কৃষি কর্মকর্তা সুফি মো.রফিকুজ্জামানের সঙ্গে কৃষক সুশেন বালা বিশ্বাস
মাগুরার শ্রীপুরে প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন সুশেন বালা বিশ্বাস নামের এক কৃষক। উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের হাজরাতলা গ্রামে ৪০ শতক জমিতে সোনালি ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি।

রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলির দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে চার গুণ বেশি। এই ফুলকপিগুলো দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন সুশেন বালার ক্ষেতে। কৃষি বিভাগ বলছে, ব্যাপক চাহিদা ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ায় আগামী মৌসুমে সারা জেলায় নতুন জাতের এই রঙিন ফুলকপি চাষ ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

সুশেন বালা জানান, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বীজ ও সার নিয়ে তিনি হাজরাতলা মাঠে নিজ ৪০ শতক জমিতে সোনালি ও বেগুনি রঙের নতুন জাতের এই ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ জাতের ফুলকপির মত এর ফলনও ভালো হয়েছে। ৪০ শতক জমিতে এই ফুলকপি চাষ করতে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

সুশেন বালা আরও জানান, সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি চার গুণ বেশি দামে অর্থাৎ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরও বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, কৃষক সুশেন বালা শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার ও পরামর্শ নিয়ে ৪০ শতক জমিতে সোনালি ও বেগুনি রঙের নতুন জাতের ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। প্রচলিত জাতের মতো তার ক্ষেতের রঙিন ফুলকপির ফলনও ভাল হয়েছে।  প্রতিটা ফুলকপি গড়ে দেড় কেজি করে ওজন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রঙ্গিন এই ফুলকপি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও খেতে সুস্বাদু। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডন্টে যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। পুষ্টিগুণে ভরা ও অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় আগামী মৌসুমে রঙিন নতুন জাতের এই ফুলকপির চাষ সারা জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ